
ঢাকা: মিয়ানমারের রোহিঙ্গারা এখন বাংলাদেশের জন্য বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। কোনোভাবেই এদের অনুপ্রবেশ ঠেকানো যাচ্ছে না। যারা বাংলাদেশে এসে পড়েছে তারা জড়িয়ে পড়ছে নানা নেতিবাচক কর্মকাণ্ডে। অসাধু ব্যক্তিদের সহায়তা এরা নানা কায়দায় ভোটার তালিকায়ও নাম লেখাচ্ছে। এবারও সে প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকতে পারে। এমনকি রাজধানী ঢাকাতেও এরা ভোটার হতে তৎপরতা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা করছে খোদ নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন ও প্রশাসনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, রোহিঙ্গারা আর চট্টগ্রামে সীমাবদ্ধ নেই। তারা বিস্তীর্ণ সমতলেও ছড়িয়ে পড়েছে। এমনকি এদের অনেকে এখন ঢাকাতেও অবস্থান নিয়েছে বা নিয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এবারের ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় ব্যাপক সতর্কতার সঙ্গে কার্যক্রম সম্পন্ন করতে মাঠ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি।
গত ১৭ জুলাই বিভাগীয় কমিশনার ও নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভোটার তালিকা হালানাগাদ সমন্বয় কমিটির এক বৈঠক করেন ইসি সচিব।
বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, এতে কর্মকর্তাদের আলোচনা থেকে এই তথ্য উঠে আসে যে, রোহিঙ্গারা আর চট্টগ্রামে সীমাবদ্ধ নেই। তারা সমতলেও ছড়িয়ে পড়েছে। তাই রোহিঙ্গা ঠেকাতে বিশেষ কমিটিকে সর্বদা সজাগ থাকতে হবে বলে অভিমত দেন অনেকে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন সচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্ সোমবার (২৪ জুলাই) মাঠ কর্মকর্তাদের ‘সর্বাত্মক সতর্কতা’র নির্দেশনা দিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, ‘রোহিঙ্গারা অসাধু চক্রের সহায়তায় দেশের সমতল এলাকায় ভোটার হওয়ার চেষ্টা চালাতে পারে। এরূপ অপচেষ্টায় তারা দেশের অন্য অঞ্চলসহ ঢাকা সিটিতেও ভোটার হওয়ার চেষ্টা চালাতে পারে। তা প্রতিরোধের জন্য সকল পর্যায় থেকে সর্বাত্মক সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এছাড়া বিষয়টি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তথ্যসংগ্রহকারীদের বিশেষভাবে অবহিত করতে হবে।’
মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) সারাদেশে বাড়িবাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু করে আগামী ৯ আগস্ট শেষ করবে নির্বাচন কমিশন। ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি যাদের বয়স ১৮ পূর্ণ হবে, কেবল তাদেরই ভোটার করে নেওয়া হবে। এবার ৩৫ লাখ ভোটারকে তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে কার্যক্রম চালাচ্ছে সংস্থাটি। একাজের জন্য ৫০ কোটি ৪৮ লাখ ৩৭ হাজার ৫৬৬ টাকা ব্যয় ধরা হয়েছে। ফলে ভোটারপ্রতি খরচ হবে ১৪৪ দশমিক ২২ টাকা।
পাঠকের মতামত